মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, ধর্ষণের ঘটনার খবর প্রায়ই পড়ছি। তবে তা সংঘটিত অপরাধের মাত্র ২৫-৩০ ভাগ প্রকাশ হচ্ছে। বেশিরভাগ প্রকাশ হয় সেইসব শিশুদের কথা যাদের মা- বাবা আছে, প্রতিবাদ বা ভরসা দেবার কেউ আছে। আমাদের দেশে বহু মাদ্রাসা আছে যেখানে শুধু এতিম শিশুরা আশ্রিত। তাদের অবস্থা কতটা ভয়াবহ! সেই মাদ্রাসায়, যেখানে তাদের কথা শুনবার কেউ নেই! ভাবলে বুকে খামচে ধরে!
এই জায়গায় শুধু কি মাদ্রাসা বা মাদ্রাসা শিক্ষকদেরই দোষ? সমাজ পরিবর্তনের ঝান্ডা গাড়া নিয়ে যারা হাউকাউ করে তাদের কি কোন দায় নেই? আমরাই কি দায় এড়াতে পারি?
সাধারন স্কুলের চেয়ে মাদ্রাসায় ৬০-৭০ ভাগ বেশি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে থাকে। কেন? ঢালাও ভাবে সবাই মাদ্রাসা শিক্ষকদের দোষ দিয়ে দেবেন হয়তো। কিন্ত তাদের চেয়ে আমরা অনেক বেশি দায়ি! আমরা অপরাধ হতে দিচ্ছি। কোন দূর্ঘটনা হলেই আমরা সরকারকে দোষ দিয়ে দিয়ে দায় মুক্তি নেই!
আমরা সবাই মাদ্রাসার শিশুদের জন্য দান করি কিন্ত কখনো খোজ নেইনা আসলে তারা কেমন আছে? কোন সমস্যা হয় কিনা, শিক্ষকরা কেমন? কারণ, ঝামেলায় যেতে চাইনা! তদারকি শুধু সরকারই করবে এমনতো নয় আমরাও করতে পারি। আপনি আমি আমরাই পারি এসব অপরাধ কমাতে। ছাড়া গরু যেমন সব ক্ষেত মাড়িয়ে যায় তেমন তদারকি না থাকায় মাদ্রাসায় অপরাধও হয়,কেননা তাদের জবাবদিহিতা নেই। মাদ্রসায় দান যখন আমরাই করি তখন জবাবদিহিতা আমরাই চাইবো। এটা হওয়া দরকার আর তা এখনি। নইলে আমরা দায়ী হব অপরাধীর চেয়ে বেশি।।।।।