আমার কিছু আওয়ামী বন্ধু বলেন, দেশের বাস্তবতা বুঝতে হবে।বললেই সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেয়া যায় না। অভিজিৎ রায়ের বাবাকে ফোন করে সেটা সবাইকে জানানো যায় না। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ঘটনায় হেফাজত-আহলে সু্ন্নতের বিরুদ্ধে এ্যাকশান নেয়া যায় না।… কারণ জনগণ প্রবলভাবে ধর্মের নামে অন্ধ…।
আমার বন্ধুদের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলাম জননগণকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হবার মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে? কয়টা ললিতা কলা একাডেমি সরকারী পয়সায় খুলে দিয়েছে? কয়টা থিয়েটার হল বানিয়ে দিয়েছে? কয়টা লাইব্রেরি খুলেছে জেলায় জেলায়? তার বদলে বইমেলায় বই নিষিদ্ধ করেছে। প্রকাশনী বন্ধ করে দিয়েছে। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে মেলা, বাউল গানের আসর বাতিল করেছে।
একতরফা ওয়াজের সুযোগ করে দিয়ে এইসব গ্রামীণ উৎসবগুলো বন্ধ করে হেফাজতী জনগণ তৈরি করতে পরোক্ষ ভূমিকা রেখেছে। জেলায় জেলায় মসজিদ তৈরির ঘোষণা, মাদ্রাসা শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা, হেফাজত, ওলামা লীগ তৈরি করে রাজনীতিতে ধর্ম নিয়ে খেলে রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে সেই জনগণই পয়দা হয় যাদের ভয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার মত ঘটনার পরও বালুতে মুখ লুকাতে হয়!
উল্লেখ, গতকাল আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক ‘কৌশলগত কারণে’ আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেয়নি কিন্তু সুযোগ পেলেই সেটা করা হবে বলার পরই সদ্য সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজকে বলেছেন, ‘সংবিধানে রাষ্ট্রধর্মের বিষয়টি একটি মীমাংসিত বিষয়। মীমাংসিত বিষয়টি নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করে থাকলে, এটি তার একান্ত নিজস্ব বিষয়।’
কাদের সাব ভয় পাইছে!