শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের দাদা ফয়েজ আহমেদ খন্দকার ছিল ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কুখ্যাত রাজাকার। সরাইল থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল মন্নাফ ঠাকুর ১৯৭১ সালের অক্টোবরে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হলে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন ফয়েজ আহমেদ খন্দকার।
রাজাকারের নাতি শাহ আলী ফরহাদের রাজাকার দাদার সহযোগিতায় ১৯৭১ সালে রমজান মাসে পাক হানাদার বাহিনী স্থানীয় নিরীহ গ্রামবাসীর ৭৬ জনকে ব্রাশফায়ারের মাধ্যমে হত্যা করে। তাদেরকে বিটঘরে গণকবর দেয়া হয়।
স্বাধীনতার পর ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেয় এই রাজাকারের বাচ্চা ফরহাদ রহমান মাক্কী, সেই পরিচয় ব্যবহার করে সরকারি চাকরিও বাগিয়ে নেয় এবং আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে অন্য দশটা রাজাকারের মত।
২০১৫ সালে এই রাজাকারের বাচ্চা স্থানীয় রাজাকারদের তালিকা করার সময় নিজের আত্মীয়-স্বজনের নাম বাদ দেয়। ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির ডেপুটি কমান্ডার মানবতাবিরোধী আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় মৃত আসামি এমদাদুল হক টাক্কাব আলি। আত্মস্বীকৃত রাজাকার মাক্কীর নিকটাত্মীয় জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ বাঘু, মরহুম আবদুল হান্নান ঠাকুর, আবদুল মতিন ঠাকুর, মরহুম ফরিদ উল্লাহ ঠাকুরের নামও বিতর্কিত ওই তালিকায় নেই।
এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। সব কিছু জেনেশুনেও এই মাক্কীর ছেলেকে নিজের বিশেষ সহকারী করে শেখ হাসিনা।