মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুরে পৌঁছানোর পর অভিবাসন পুলিশ তাঁকে সেখানে আটকে রাখে। এরপর আজ রাতে ওই উড়োজাহাজ সংস্থার ফিরতি ফ্লাইটে তাঁকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়।
অধিকারের পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলান রাতে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এপিডিএন) আয়োজিত মৃত্যুদণ্ড রহিত করার বিষয়ে দুই দিনের এক সেমিনারে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ায় পৌঁছান আদিলুর রহমান খান। কাল শুক্রবার থেকে ওই সেমিনার শুরুর কথা।
কুয়ালালামপুর থেকে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভোরে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর আদিলুর রহমান খানকে আটক করা হয়। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন সুয়ারা রায়কাত মালয়েশিয়া (সুয়ারাম) এক বিবৃতিতে জানায়, তাঁকে আটকের পর বিমানবন্দরে অভিবাসন পুলিশের হাজতে রাখা হয়। সংগঠনটি অবিলম্বে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানায়।
এ ছাড়া অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আদিলুর রহমানকে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে আটকের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে তাঁকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানায়।
মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ প্রায়ই বিদেশের গণতন্ত্রকামী কর্মীদের কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই সে দেশে ঢুকতে বাধা দেয়। ২০১৫ সালে হংকংয়ের আমব্রেলা রেভল্যুশন বা হংকং বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক ও ছাত্রনেতা জশুয়া উংকে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ সে দেশে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। হংকংয়ের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রস্তাবিত পরিবর্তনের প্রতিবাদে ২০১৪ সালে দেশটিতে গণতন্ত্রকামীরা পথে নেমেছিল।