গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার ও তার প্রশাসন যেখানে জনগণের সেবক হওয়ার কথা, সেখানে আমাদের এখানে হয় তার উল্টো। আর প্রধানমন্ত্রী থেকে সরকারের সকল মন্ত্রী মহোদয় আর তার সরকারী দলের নেতা ও দলীয় ক্যাডাররা জোরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তারা জনগণের সেবা করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। আসলে কোন দেশের সরকার যখন জোর করে ক্ষমতায় আসে তাদের আর কোন ধরনের কোন দায়বদ্ধতা থাকেনা। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারও তাই জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। তাই তো দেশ জুড়ে একের পর এক অঘটন ঘটেই চলেছে। এই অবৈধ সরকার আর অবৈধ সংসদ এবিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। তাই অচিরেই তাদের বিদায় হওয়া দরকার। জনগণের ক্ষমতা জনগনের নিকট ফিরিয়ে দিয়ে তাদের উচিৎ বিদায় নেওয়া। কেননা জনগণের নির্বাচিত সরকার হলে তারা জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকবে।
সড়ক ও পরিবহন খাতে চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য। যা দেখার কেউ নেই। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ট্রেন চলছে ট্রেইনিংবিহীন ড্রাইভার দ্বারা। তারা এ্যাকসিডেন্ট করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় সরকারের যেন কোন মাথাব্যথাই নেই। উপযুক্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সাম্প্রতিক কালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সরকার যেহেতু দাবি করে তারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে তাহলে এই দায় সরকার কিভাবে এড়াবে? সরকারের জন্য এটা অবশ্যই বড় ধরনের ব্যর্থতা। কেননা এতে সরকারের বড় ধরনের প্রশাসনিক ব্যর্থতাই পরিলক্ষিত হয়েছে। এসব কারনেই ক্ষমতাসীন সরকারের বিদায় নেওয়া উচিৎ। যেখানে সরকার ও সংসদই অবৈধ সেখানে জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এইজন্য শুধুমাত্র একজন মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে লাভ নেই। এখন প্রয়োজন এই সরকারের পদত্যাগ এবং অচিরেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদ। যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। নিজেরাই অপকৌশলে ক্ষমতায় আসার মতো অপরাধ করলে অন্য অপরাধের বা অপরাধীদের বিচার তারা কিভাবে করবে?
ভোট ছাড়া তারা যে সরকারে এসেছে সেটা প্রমাণ করার জন্যই শেখ হাসিনা আজকে আমাদেরকে পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। দেশের অবস্থা আজ ভয়াবহ। লাগামহীন বাজারদর জন সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। যে পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা ছিল, সেটা আজকে ২৫০ টাকা। আর প্রধানমন্ত্রী নাকি তার পরিবারে বলেছেন, ‘পেঁয়াজ দিয়ে তরকারি দরকার নেই’। এর থেকে হাস্যকর কথা আর কি হতে পারে! সরকার দেশের কাঁচাবাজারই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সেখানে দেশ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ ক করবে?
রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি কি পরিমাণ আজকে তা শুধু দেশেই না সারা বিশ্বে প্রমাণিত। সেই রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে চুনোপুটিদের ধরার একটি অপচেষ্টা করছে। কিন্তু এদেশের জনগণ বুঝে ফেলেছে। আমরা যদি এই দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে চাই, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই, শুধু নামেই ঐক্য নয়, দেশের সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে নামতে হবে।
দেশে আজ গণতন্ত্র নাই এখন এমন অবস্থা যে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পচন ধরেছে। এই পচন থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে।