আপনার জানা আছে কি:
১। ২০ কোটি লোকের দেশে অগ্নি নির্বাপনের জন্য কত জনকে নিয়োগ দেয়া আছে?
২। বাংলাদেশে কতগুলো ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন / সাব-স্টেশন আছে?
৩। ফায়ার সার্ভিস এর বাইরে সাধারণ নাগরিকদের আগুন নেভানো ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কিনা?
৪। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এর বাৎসরিক বাজেট কত?
জানা থাকলে তথ্য গুলো দিন। জানা না থাকলে উন্নয়নের বিল্ডিং দেখে উন্নয়ন চেটে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
৫০ এর কাছাকাছি বা তার বেশি যাদের বয়স, তারা হয়তো স্মরণ করতে পারবেন- ১৯৭৬ সালে সারা দেশব্যাপী সকল সরকারি, বেসরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষীদের কে ফায়ার ফাইটিং ট্রেনিং করানো হতো। এইসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি তলায় ফায়ার এক্সটিংগুইশারের পাশাপাশি তিন বালতি বালু এবং তিন বালতি পানি থাকতো। ভবনগুলো চার তলা বা তার চেয়ে বেশী উঁচু হলে ছাদে আগুন নেভানোর উপযোগী করে অতিরিক্ত পানি ধারণ ক্ষমতার ট্যাঙ্কি নির্মাণ করতে হতো এবং প্রতিটি ফ্লোরে আগুন নেভানোর জন্য হাইড্রেন্ট ও হোস পাইপ এর ব্যবস্থা থাকত।
তখনকার সময়ে টেক্সটাইল মিলে আগুন লাগা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ছিল, জুটমিলগুলোতে তো প্রতিদিন ২/৩ বার আগুনের পাগলা ঘন্টি বাজতো । এসব আগুন মিলের শ্রমিক বা নিরাপত্তারক্ষীরাই নিভিয়ে ফেলত। এসব আগুনে কেউ মারা গেছে এমনটা কখনোই শোনা যায়নি।
আর আজ এতো বছর পর এসে এই আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতায়নের সময় আমরা কি দেখছি? অনুমোদনবিহীন বহুতল ভবন, সতর্ক করার পরও অবৈধভাবে ইমারত স্থাপনা, ফায়ার সার্ভিসে যথাযথ ইক্যুপমেন্টের অভাব, ঘিঞ্জি আবাসিক এলাকাগুলোর মধ্যে ভয়ানকভাবে গড়ে ওঠা অবৈধ কারখানা, সকল ক্ষেত্রে অনিয়ম, অগ্নি নির্বাপণের নিয়মনীতির অভাব, আরও কত কি! আপনারা বুঝতেই পারছেন আওয়ামীলীগ সরকারের হাতে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ কতটুকু নিরাপদ!