বাঙ্গালীর চরিত্র অদভোদ! এরা মশা প্রতিরোধ না করে ডেঙ্গু হলে কি কি করতে হবে, সেই ফিরস্তি শেয়ার করে। আর এখন করোনা ভাইরাস বহনকারী রোগিকে এয়ারপোর্টেই না ধরার ব্যবস্থা করে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার পদ্ধতি শেখাচ্ছে!
মালয়েশিয়ায় যদি কোন রোগি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে যাবার পর ডেঙ্গু হয়েছে প্রমান পাওয়া যায়, তাহলে প্রথমেই সেই রোগির কর্মস্থল ও বাসস্থানের ঠিকানা নিয়ে ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ঐ এলাকায় মশা মারার জন্য বিশাল বাহিনী পাঠিয়ে দেয়।
চীনে করোনাভাইরাস আসার পর মালয়েশিয়া তার সবগুলো বিমান, স্থল এবং নৌ বন্দরে চেকপোস্ট বসিয়েছে। এই পর্যন্ত যে চারজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগি পাওয়া গেছে, তাদের সবাই চীন থেকে আসা এবং ইমিগ্রেশনেই তাদের ধরা হয়েছে ও সাথে সাথে আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অনেক চাইনিজ কাজ করে এবং চীন-বাংলাদেশের মধ্যে অনেকগুলো ফ্লাইট যাতায়াত করে। ভারত/মিয়ানমার হয়েও সড়কপথে চীনাদের মাধ্যমে এই ভাইরাস বাংলাদেশে ঢুকতে পারে। অনেক চীনা জাহাজ বন্দরে আসে, তাই নৌপথেও আসা অসম্ভব নয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- বাংলাদেশের সবগুলো প্রবেশপথে সকল ব্যক্তিকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে দেশে ঢোকানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কি? আমার জানামতে, না। শুধুমাত্র যাদের সর্দি-কাশি আছে বলে মনে হয়, তাদের পরীক্ষা করে কোন লাভ নেই। এই ভাইরাস বহনকারীর শরীরে তাৎক্ষনিকভাবে রোগের উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে।
এমতাবস্থায় বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার হাস্যকর পরামর্শ না দিয়ে পারলে সরকারকে বাধ্য করুন, দেশের সবগুলো প্রবেশপথে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে।
এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি ২ হাজার ৮ শত ৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে ৮০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত্যুর সবগুলো ঘটনা চীনে ঘটেছে। চীনের বাইরে হংকং ও থাইল্যান্ডে ৮ জন করে, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় ৫ জন করে, মালয়েশিয়া, জাপান, সিংগাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ জন করে, ফ্রান্সে ৩ জন, ভিয়েতনামে ২ জন এবং নেপাল ও কানাডায় ১ জন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তকে সনাক্ত করা হয়েছে; যাদের সকলেই চীন থেকে এই রোগ বহন করে ঐ দেশগুলোতে প্রবেশের সময় ধরা পড়েছে।
আমার প্রচণ্ড ভয় হচ্ছে বাংলাদেশকে নিয়ে। সঠিকভাবে পরীক্ষা না করে বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের দেশে ঢুকতে দিয়ে এর মধ্যেই এই ভাইরাস দেশে ঢুকে গেছে কিনা, সেই আতঙ্কে আছি।