ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কোন জায়গাটায় ধর্ষণ হয়েছিলো মনে আছে তো? বিমানবন্দর সড়কে, কুর্মিটোলার কাছে।
মজনু নিজেই স্বীকার করেছে সে সেখানে সাত-আটজন নারীকে ধর্ষণ করেছে, আরো কত মজনু সেই ভুতুড়ে এলাকার পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে কত নারীর ধর্ষণ করেছে সেই সম্পর্কে আপনাদের ধারণাও নাই।
আমি দুইটা পেপার কাটিং দিচ্ছি, একটা ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ সংখ্যা, যুগান্তরের। আরেকটা প্রথম আলোর ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ সংখ্যা। এই যে জায়গাটার আজকে ভুতুড়ে অবস্থা, সেইটা কেন, কতদিন ধরে, তার একটা ব্যাখা দেব।
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই রাস্তার দুই পাশে সাজানোর কাজ দেয়া হয় আওয়ামী লীগের চ্যালা ব্যবসায়ী আবেদ মনসুরকে। কথা ছিল ২০১৭ সালের মার্চ মাসে শেষ হয়ে যাবে কাজ। (১) পরে তারা বলে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শেষ হয়ে যাবে কাজ। (২) সেই কাজ এখনো শেষ করে নাই তারা। এবং পুরো এলাকাটাকে অপরাধীদের আখড়ায় পরিণত করে রাখছে গত ৬ বছর ধরে।
এখন কথা হচ্ছে এই যে শহরের একটা বিস্তীর্ণ এলাকাকে অনিরাপদ করে রাখছে, সেইখানে অপরাধ হচ্ছে, নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে, মেয়ররা কেন কিছু বলে না?
কথা হচ্ছে বলবে কেন এবং কীভাবে?
কেন’র উত্তর হচ্ছে, এই সময়কালে যারা মেয়র ছিল তাঁদের একজন আত্মস্বীকৃত ‘ফাউল’ প্লেয়ার এবং আরেকজন মেয়র হইছে ‘খিচুড়ি-চা’ খেয়ে ভোট দিয়ে। এরা তো আপনার প্রতিনিধিই না, আপনার প্রতিনিধি হলে সে না হয় গিয়ে আবেদ মনসুরকে ধরতো যে কেন ২০১৭ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল যেই কাজের সেই কাজ ২০২০ সালেও শেষ হয় নাই।
কীভাবে’র উত্তর হচ্ছে, এই আবেদ মনসুর তো আওয়ামী লীগের চ্যালা, ২০১৮ সালের নির্বাচনের জন্য নমিনেশন চাইছিলো আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগের চ্যালাকে কীভাবে জবাবদিহি করবে আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাওয়া মেয়র।
আপনারা যারা মনে করেন, আওয়ামী লীগের মেয়র সরকারের সাথে মিলে কাজ করবে, তাদের উচিৎ কচু গাছের সাথে গলায় দড়ি দেয়া। কারণ সেই রামছাগলেরা এইটুকু বোঝে না যে চোর আর চোর মাসতুতো ভাই, এবং দুই চোরা মাসতুতো ভাই চুরি ছাড়া কিছু করতে জানে না, তাদের বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।