আজকে বাংলাদেশে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে বলতে গেলে যে কথাটি বলতে হয় সেটি হল এই আন্দোলন একদিন বা দুইদিনের সৃষ্টি নয়। অনেক দিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ । ৪৭ বছরেও এ দেশের সড়ক নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। daily star.net এর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতিদিন গড়ে ৬৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে । প্রতি বছর এই হার বেড়েই চলছে। এর প্রধান কারন হচ্ছে সড়ক পরিবহন নীতির সঠিক প্রয়োগ এবং জন সচেতনতার অভাব এবং কিছু আইনি দুর্বলতা। আজকে শিশুকিশোররা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সমস্যাটা কোথায়। ফিটনেস বিহীন পরিবহন , লাইসেন্স বিহীন চালক দিয়ে পরিবহন ব্যবস্থা ভংগুর করে রাখা হয়েছে। এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্নীতি ও দায়িত্ব হীনতার কারনেই এমনটা হচ্ছে। তার ওপরে রাজনৈতিক নেতাদেরও হাত রয়েছে।
আজকের যে আন্দোলন সেটা কোন রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। তবুও রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নোংরা চরিত্র নিয়ে উপস্থিত। কিছু রটনা কিছু ঘটনা দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো আজকের আন্দোলনকে নস্যাৎ করার পরিকল্পনা করছে। আমাদের দেশের এই নোংরা রাজনৈতিক খেলা কবে বন্ধ হবে তা আদৌ বলা সম্ভব না। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল এই নোংরা রাজনৈতিক খেলা খেলতে গিয়ে এক রকম সন্ত্রাসবাদ কেই উস্কে দিচ্ছে। তারা ভুলেই গেছে জামায়াত শিবিরের মত সন্ত্রাসি দলকে। হয়তবা এই আন্দোলনে সরকারের পতন হবে না কিন্তু সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঠিকই হবে। আমি কোমলমতি শিশুদের উপর হাতুরিলিগের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আর এই হামলাকে পুঁজি করে জামায়াত শিবির কিছু কোমলমতি শিশু কিশোরদের মগজ ধোলাইর কাজে নেমে পড়বে। আমি যদি ভুল না হই তারা ইতিমধ্যে কাজে নেমে পড়ছে। এই আন্দোলন শেষে বেশ কিছু শিশু কিশোর নিখোঁজ হবে। এবং এই দায়ভার ক্ষমতাসীন দল এবং দলের প্রধানকেই নিতে হবে। আমি এতটুকুই বলবো ক্ষমতাসীন দল প্রধানের দূরদর্শিতা বোথা হয়ে গেছে। তার দূরদর্শিতার অভাবের কারনে জাতি একটি ভয়ানক হুমকির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।
সাংবাদিক কাজলের মুক্তি ও আমার কিছু ভাবনা
আমাদের প্রজন্মের একজন হতভাগা সাংবাদিক কাজল আজ দীর্ঘ ৯ মাস পর মুক্তি পেলেন। প্রায় নয় মাস আগে সাংবাদিক কাজলকে তাঁর...